ঘরে-বাইরে গান শোনার জন্য নিয়মিত হেডফোন বা ইয়ারবাডস ব্যবহার করেন অনেকেই। স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের নিত্যসঙ্গী এই যন্ত্র ব্যবহারে সতর্ক না হলে কানের ক্ষতি হতে পারে। নিয়মিত হেডফোন বা ইয়ারবাডস ব্যবহারের সময় এ পাঁচটি বিষয় অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
উচ্চ শব্দে গান না শোনা
দীর্ঘ সময় উচ্চ শব্দে বা ভলিউমে গান শোনার কারণে কানের শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে। আর তাই নিরাপদে হেডফোন ব্যবহারের জন্য কম ভলিউমে গান শুনতে হবে। হেডফোনে যত বেশি উচ্চ শব্দে গান শুনবেন, ক্ষতির আশঙ্কাও তত বেশি হবে। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাধারণ শব্দসীমার ৬০ শতাংশের বেশি ভলিউমে গান শোনা ঠিক নয়। আর তাই হেডফোনে উচ্চ শব্দে গান শোনা থেকে বিরত থাকতে হবে।
বিরতি
হেডফোন একটানা ব্যবহারের ফলে কানের ক্ষতি হতে পারে। খুব প্রয়োজন না হলে এক ঘণ্টার বেশি সময় একটানা হেডফোন ব্যবহার না করাই ভালো। দীর্ঘ সময় হেডফোন ব্যবহারের প্রয়োজন হলে ২০ মিনিট পরপর অল্প সময়ের জন্য কান থেকে হেডফোন খুলে ফেলতে হবে।
নয়েজ ক্যানসেলেশন সুবিধার হেডফোন ব্যবহার
নয়েজ ক্যানসেলেশন সুবিধার হেডফোনে বাইরের কোনো শব্দ শোনা যায় না। ফলে কম ভলিউমে ভালোভাবে গান শোনা যায়। আর তাই নয়েজ ক্যানসেলেশন সুবিধার হেডফোন ব্যবহার করলে কানের ক্ষতি হয় না।
হেডফোন পরিষ্কার
দীর্ঘদিন ব্যবহারের ফলে হেডফোনে ধুলাবালু বা ময়লা জমে। এসব ময়লা কানে প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। এ ছাড়া ময়লা জমার কারণের হেডফোনের ছিদ্রও বন্ধ হতে পারে, ফলে শব্দের মাত্রা বাড়িয়ে গান শুনতে হয়, যা কানের ক্ষতি করতে পারে।
অন্যের হেডফোন ব্যবহার না করা
অন্যের ব্যবহৃত হেডফোনের মাধ্যমে কানে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। আর তাই বন্ধু বা পরিচিতদের হেডফোন ব্যবহার না করাই ভালো।