অভিভাবকদের সম্মতি নিয়ে অনেক শিশুই এখন নিয়মিত স্মার্টফোন ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু এতে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আর তাই ১১ বছর বয়সের আগে শিশুদের স্মার্টফোন না দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাজ্যের শীর্ষ মোবাইল ফোন অপারেটর ‘ইই’। ১১ বছরের কম বয়সী শিশুদের স্মার্টফোনের বদলে ফিচার ফোন অর্থাৎ শুধু কল করা বা বার্তা আদান-প্রদানের উপযোগী ফোন দেওয়া যেতে পারে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি। এবারই প্রথম ব্রিটেনের কোনো মোবাইল অপারেটর অভিভাবকদের এ ধরনের পরামর্শ দিল।
ইইয়ের সুপারিশে বলা হয়েছে, ১১ বছরের কম বয়সী শিশুদের ফিচার ফোন ব্যবহার করতে দেওয়া যায়, যা দিয়ে শিশুরা শুধু টেক্সট ও কল করতে পারবে। এসব ফোন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা ইন্টারনেট ব্যবহার কমাতে পারে। ১১ থেকে ১৩ বছর বয়সী শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় প্যারেন্টাল লক বা অভিভাবকের নিয়ন্ত্রণ থাকতে হবে। গুগল ফ্যামিলি লিংক বা অ্যাপল ফ্যামিলি শেয়ারিংয়ের মতো অ্যাপের মাধ্যমে শিশুদের মোবাইল ফোন ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
জরিপে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যে ১১ বছর বয়সী প্রতি ১০ জন শিশুর মধ্যে ৯ জনই ফোন ব্যবহার করে। শুধু তা–ই নয়, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের বয়স সর্বনিম্ন ১৩ বছর হলেও বাস্তবে আট থেকে ১২ বছর বয়সী ৬০ শতাংশ শিশু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে থাকে।
যুক্তরাজ্যের টেলিকম নিয়ন্ত্রক সংস্থা অফিস অব কমিউনিকেশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে তিনটি শিশুই অনলাইনে অস্বস্তিকর যোগাযোগের সম্মুখীন হচ্ছে।
গত মে মাসে যুক্তরাজ্যের শিক্ষা কমিটির সংসদ সদস্যারা ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বিদ্যালয়ে স্মার্টফোন ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা বিবেচনা করার জন্য সরকারকে অনুরোধও করেন তাঁরা।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান