স্মার্টফোন দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে স্বয়ংক্রিয়ভাবেই বেশ ধীরগতির হয়ে যায়। সাধারণ মানের স্মার্টফোনের পাশাপাশি নামকরা ব্র্যান্ডের হালনাগাদ মডেলের স্মার্টফোনও কিছুদিন পর ধীরে কাজ করে। ফলে দরকারের সময় স্মার্টফোন ঠিকমতো কাজ না করলে বিরক্ত হন অনেকেই। তবে বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করে স্মার্টফোনের গতি বাড়ানো যায়। স্মার্টফোনের গতি বাড়ানোর ১০টি পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক—
সফটওয়্যার হালনাগাদ
হালনাগাদ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারের পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যাপের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহার করতে হবে। হালনাগাদ সংস্করণে আগের সংস্করণে থাকা বিভিন্ন ত্রুটির সমাধান করায় দ্রুত অ্যাপের বিভিন্ন সুবিধা ব্যবহার করা যায়।
প্রি-ইনস্টল অ্যাপ অকার্যকর
বিক্রির আগেই স্মার্টফোনে বিভিন্ন অ্যাপ ইন্সটল করে দেয় নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। আগে থেকে ইন্সটল করা অ্যাপগুলো সাধারণত ব্যবহার করা হয় না। ব্যবহার করা না হলেও অ্যাপগুলোর কারণে স্মার্টফোনের ধারণক্ষতা কমে যায়। তাই স্মার্টফোনে আগে থেকে ইন্সটল করা অপ্রয়োজনীয় অ্যাপগুলো অকার্যকর করতে হবে।
স্মার্টফোন রিস্টার্ট দেওয়া
স্মার্টফোনে কোনো সমস্যা না থাকলেও কিছুদিন পরপর রিস্টার্ট দিতে হবে। কারণ, স্মার্টফোন রিস্টার্ট দিলে আগে চালু থাকা অ্যাপসহ অপারেটিং সিস্টেম নতুন করে চালু হয়। ফলে স্মার্টফোনের গতি আগের তুলনায় বৃদ্ধি পায়।
অ্যাপে জমে থাকা মেমোরি মুছে ফেলা
আপনি যে অ্যাপই ব্যবহার করেন না কেন, সেটি নিয়মিত তথ্য জমা করতে থাকে। ফলে অ্যাপের কার্যকারিতা কমে যায়। তাই নিয়মিত অ্যাপে জমে থাকা তথ্য মুছে পেলতে হবে।
চ্যাটে সংযুক্ত মিডিয়া ফাইল মুছে ফেলা
হোয়াটসঅ্যাপের মতো চ্যাটিং অ্যাপে সংযুক্ত মিডিয়া ফাইল যেমন ছবি, ভিডিও স্মার্টফোনের স্টোরেজ জমা থাকে। ফলে স্মার্টফোনের ধারণক্ষতা কমে যায়। তাই চ্যাটে সংযুক্ত মিডিয়া ফাইলগুলো নিয়মিত মুছে ফেলতে হবে।
অ্যাপের লাইট সংস্করণ ব্যবহার
অনেক অ্যাপের লাইট সংস্করণ পাওয়া যায়। আকারে ছোট এসব সংস্করণ কম ইন্টারনেট ব্যবহারের পাশাপাশি স্মার্টফোনে জায়গা কম দখল করে। ফলে স্মার্টফোন দ্রুত কাজ করে।
সাধারণ হোম স্ক্রিন ব্যবহার
স্মার্টফোনের হোম স্ক্রিনে উইজেট, লাইভ ওয়ালপেপার এবং অন্যান্য লাইভ আইটেম যন্ত্রের কর্মক্ষমতা কমানোর পাশাপাশি ব্যাটারি দীর্ঘস্থায়িত্বের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এ কারণে সাধারণ হোম স্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।
অ্যাপের স্বয়ংক্রিয় হালনাগাদ বন্ধ
স্মার্টফোনের অ্যাপে স্বয়ংক্রিয় হালনাগাদ চালু থাকলে গতি কমে যেতে পারে। এ জন্য অ্যাপের স্বয়ংক্রিয় হালনাগাদ সুবিধা বন্ধ করতে হবে।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড অথরিটি