স্মার্টফোনের ক্যামেরা হ্যাক করে সাইবার হামলা চালানো হচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন নর্ডভিপিএনের সাইবার নিরাপত্তাবিশেষজ্ঞ অ্যাড্রিয়ানাস ওয়্যারমেনহোভেন। তিনি জানান, এ হামলা চালানোর জন্য প্রথমে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করিয়ে ফোনের ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ নেয় সাইবার অপরাধীরা। এরপর দূর থেকে ব্যবহারকারীদের ওপর গোপনে নজরদারি করতে থাকে। এমনকি ফোনের ক্যামেরা দিয়ে ব্যক্তিগত ছবি বা ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইলও করে।
ক্যামফেক্টিং ঘরানার এ আক্রমণ চালানো খুব কঠিন নয় উল্লেখ করে অ্যাড্রিয়ানাস ওয়্যারমেনহোভেন জানান, ফোনের ক্যামেরার নিয়ন্ত্রণ পেতে প্রথমে বিভিন্ন প্রলোভনে ম্যালওয়্যারযুক্ত লিংক বা ই–মেইল পাঠিয়ে থাকে সাইবার অপরাধীরা। লিংকটিতে ক্লিক করলে বা ই–মেইলে থাকা ফাইল খুললেই ক্ষতিকর ম্যালওয়্যারটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যবহারকারীদের ফোনে ইনস্টল হয়ে যায়। ফলে সাইবার অপরাধীরা দূর থেকেই গোপনে ফোনের ক্যামেরা চালু করে ছবি বা ভিডিও ধারণ করতে পারে। তবে বেশ কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে এ ধরনের সাইবার হামলা থেকে নিজেকে নিরাপদ রাখা যায়।
সাইবার নিরাপত্তাবিশেষজ্ঞদের মতে, বেশ কিছু বিষয় ভালোভাবে পর্যবেক্ষেণ করলে ফোনের ক্যামেরা হ্যাকড হয়েছে কি না, তা জানা সম্ভব। ক্যামেরা চালু না করলেও যদি হঠাৎ ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট চালু হয় বা লাইট ক্রমাগত জ্বলতে থাকে তবে বুঝতে হবে ফোনের ক্যামেরা অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে। ফোনের ব্যাটারির চার্জ দ্রুত কমে গেলেও এ ধরনের আক্রমণ হয়ে থাকতে পারে। অনেক সময় ব্যবহারকারীদের অজান্তে যদি ফোনে অনেক অ্যাপ ইন্সটল হয়ে যায় তবে সতর্ক থাকতে হবে। এ ছাড়া নিয়মিত ফোন হ্যাং বা ক্রাশ করলে সাইবার হামলার আশঙ্কা রয়েছে।
সাইবার হামলা থেকে নিজেকে নিরাপদে রাখতে অপরিচিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের ই–মেইল খোলার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। শুধু তাই নয়, অপরিচিত ব্যক্তিদের পাঠানো লিংক বা ফাইলে ক্লিক করার বিষয়ে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। পাশাপাশি যন্ত্রে ম্যালওয়্যার শনাক্তকরণ সফটওয়্যার ব্যবহার করে এ ধরনের আক্রমণ থেকে নিজেকে সুরক্ষিত রাখা যায়।
সূত্র: দ্য সান