২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের জন্য ২ হাজার ৩৬৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ফলে গত অর্থবছরের চেয়ে এবার ৫২৬ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে আইসিটি বিভাগকে। তবে আইসিটি খাতে বরাদ্দ বাড়লেও বিভিন্ন প্রযুক্তিপণ্য আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করায় খুশি নয় আইসিটি ব্যবসা খাতের বিভিন্ন সংগঠন।
প্রযুক্তিপণ্যের দাম বাড়বে
দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা খাতের সবচেয়ে বড় সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সভাপতি সুব্রত সরকার বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটে হার্ডওয়্যার শিল্পের জন্য কোনো সুখবর নেই। বরং বেশির ভাগ প্রযুক্তিপণ্যের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। এর ফলে এসব পণ্যের দাম আগের চেয়ে বাড়বে। এমনকি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য যেসব প্রযুক্তিপণ্য প্রয়োজন, সেগুলোর দামও বাড়বে। আমরা ল্যাপটপ ও প্রিন্টারের আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলাম। ঘোষিত বাজেটে তার কোনো প্রতিফল নেই।’
গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম বাড়তে পারে
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি মো. ইমদাদুল হক বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এই বাজেট বাস্তবায়ন হলে এককথায় বলা যায় গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেটের দাম বাড়বে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার সহযোগী হিসেবে ইন্টারনেট-সেবা সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিপণ্য আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের পরিবর্তে সেগুলোর দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। ফলে আমাদের গ্রাহকদের কাছে বেশি দামে ইন্টারনেট বিক্রি করতে হবে।’
কঠিন সময়ে পড়ল ই-কমার্স খাত
ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল ওয়াহেদ বলেন, ‘বাজেটে আমরা যে দাবি জানিয়েছিলাম, তার বেশির ভাগই পূরণ করা হয়নি। এর ফলে ই-কমার্স খাত কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাবে। তবে অনেক না পাওয়ার মধ্যে একটি ভালো দিক হলো, আগে অনলাইন বাজার থেকে পণ্য কিনলে ডেলিভারি চার্জে আলাদাভাবে মূসক দিতে হতো। এবারের বাজেটে এই মূসক দিতে হবে না।’
কলসেন্টার পরিচালনার খরচ বাড়বে
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনটাক্ট সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের সভাপতি (বাক্কো) ওয়াহিদ শরীফ বলেন, ‘এই বাজেটের ফলে বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাত আরও কঠিন সময়ের মুখোমুখি হবে। বিপিও খাতে যেসব প্রযুক্তি বা পণ্য ব্যবহার করা হয়, সেগুলোর দাম বাড়ানো হয়েছে। ফলে এই খাতের, বিশেষ করে কলসেন্টার পরিচালনার খরচ বৃদ্ধি পাবে। খরচ বাড়ানো ফলে আমরা বিশ্ববাজারে নিজেদের অবস্থান হারাব।’