আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের ই-কমার্স খাতের প্রবৃদ্ধি হবে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। এ জন্য সরকারকে অন্তত ৫ বছরের জন্য ডিজিটাল কৌশলপত্র প্রণয়ন করতে হবে। ডিজিটাল কৌশলপত্রের পাশাপাশি ভোক্তার আস্থা অর্জনসহ পণ্য ও সেবার পরিধিও বাড়াতে হবে বলে জানিয়েছেন দেশের ই-কমার্স খাতের ব্যবসায়ীরা। আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ ই-কমার্স সামিট’-এর বিভিন্ন সেমিনার ও প্যানেল আলোচনায় এসব তথ্য জানান তাঁরা।
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত দিনব্যাপী এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সার। তিনি বলেন, ‘দেশের ই-কমার্স খাত দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রেতাদের মধ্যেও অনলাইনে কেনাকাটার অভ্যাস গড়ে উঠেছে। বাংলাদেশের ই-কমার্স খাতের উন্নয়নে এ সম্মেলন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ই-কমার্স একটি দ্রুত অগ্রগতিশীল খাত। প্রতিবছরই আমরা এই খাতে অনেক আধুনিকায়ন দেখেছি। এ সম্মেলন ই-কমার্স খাতকে নতুন প্রযুক্তি ও পরিবর্তনের সঙ্গে সমন্বয় ঘটিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’
সম্মেলনে ই-কমার্স খাতের বর্তমান অবস্থা এবং সম্ভাবনা নিয়ে একাধিক আলোচনা, সেমিনার এবং কিনোট উপস্থাপন করা হয়। এসব আয়োজনে ই-কমার্সে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির চ্যাটবট ‘চ্যাটজিপিটি’ ব্যবহার, পরিবহন ও লজিস্টিকস ব্যবস্থাপনা, অর্থ লেনদেনের পদ্ধতিসহ বাংলাদেশে এফ-কমার্স খাতের প্রসারে করণীয় বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন ই-কমার্স মার্কেটপ্লেস ‘দারাজ বাংলাদেশ’-এর চিফ মার্কেটিং অফিসার তালাত রহিম, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, চালডালের সহপ্রতিষ্ঠাতা ওয়াসিম আলিম, সরকারের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের ই-কমার্স বিভাগের প্রধান রেজওয়ানুল হক, ই-কুরিয়ার প্রতিষ্ঠাতা বিপ্লব ঘোষ প্রমুখ।