সৌর গাড়ি
বৈদ্যুতিক সৌর গাড়ি বানিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এক অংক শিক্ষক ও উদ্ভাবক। জম্মু ও কাশ্মিরের ওই অংক শিক্ষকের উদ্ভাবিত গাড়ির দামটাও হাতের নাগালে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এএনআই এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের তাংমার্গের বাসিন্দা বিলাল আহমেদ ১৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই গাড়ি নির্মাণের কাজ করছেন এবং অবশেষে তিনি গাড়ি নির্মাণ করে মাইলফলক অর্জন করেছেন।
এএনআইকে তিনি বলেন, তিনি প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি গাড়ি তৈরি করতে চেয়েছিলেন কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতার কারণে সে ব্যাপারে এগুতে পারছিলেন না।
তিনি বলেন, আমি প্রতিবন্ধীদের জন্য একটি গাড়ি তৈরি করতে চেয়েছিলাম কিন্তু আর্থিক সীমাবদ্ধতা এই কাজকে কঠিন করে তুলেছিল। এর পরই সৌর গাড়ির ধারণা মাথায় আসে… এটি বিনামূল্যের জ্বালানি… এবং সম্প্রতি আমি সংবাদপত্রে পড়েছি যে পেট্রোলের দাম ১০ বছরে বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১৯৫০ সাল থেকে নির্মাণ করা বিভিন্ন বিলাসবহুল গাড়ি পর্যবেক্ষণ করছিলেন তিনি।
শুধুমাত্র অভিজাতরাই বিলাসবহুল গাড়ি চড়তে পারে এমন ধারণা ভেঙে দিয়ে তিনি একটি সোলার কার তৈরি করেছেন, যা শুধু বিলাসবহুল গাড়ির অনুভূতিই দেয় না, সাধারণ মানুষের জন্যও সাশ্রয়ী বটে।
তিনি বলেন, মানুষকে বিলাসবহুল গাড়ির অনুভূতি দেওয়ার জন্য আমি বেশ চিন্তাভাবনা করে গাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেছি। বিভিন্ন ভিডিও দেখে নির্মাণ কাজ সংশোধন করেছি এবং এতে বিভিন্ন ফিচার যোগ করেছি।
তিনি আরও বলেন, কাশ্মিরে বেশিরভাগ সময় আবহাওয়া বিষণ্ণ থাকে। আমি সোলার প্যানেল ব্যবহার করেছি যা কম সূর্যালোকের দিনেও কাজ করে। আমি সোলার প্যানেলের কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য অনেক সোলার কোম্পানিতে গিয়েছি এবং এই সৌর উদ্ভাবনী গাড়িতে কাজ করেছি।
অনেক সময় গাড়ির দরজায় পার্কিং করলে হালকা সূর্যের আলো পাওয়া যেত, এই সমস্যা সমাধাণের জন্য তিনি একটি গুল-উইং দরজা তৈরি করেন যা ফেরারির মতো উপরের দিকে খোলে।
গুল-উইং দরজা তৈরি করা এবং ভারসাম্য বজায় রাখা তার জন্য চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি একটি কঠিন কাজ ছিল বলেও জানিয়েছেন বিলাল আহমেদ।
রাস্তায় গাড়ি চালিয়ে পথচারীদের কাছ থেকে ভালো সাড়া পেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।