hightech park

ভারতীয় সরকারের ঋণসহায়তায় ১৭০ কোটি টাকা ব্যায়ে গোপালগঞ্জে শুরু হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নলেজ পার্ক স্থাপনের কাজ। শনিবার এই কাজের উদ্বোধন করলেন তথ্য ও যোগোযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ. কিউ. এম. মাহবুব , বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম ও ভারতীয় দূতাবাসের সহকারী রাষ্ট্রদূত ইন্দ্রজিৎ সাগরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

এর আগে প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নের নলেজ ইকোনমি প্রতিষ্ঠায় নলেজ পার্কের ভূমিকা নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের স্টার্টআপ পলিসি এবং ইনকিউবেশন স্ট্র্যাটেজি কনসালটেন্ট আশিকুর রহমান রূপক।

উপস্থাপনায় তিনি জানালেন, নলেজ পার্কের উৎস হচ্ছে অর্থনীতি। তবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয়, টেকসই পরিবেশ বান্ধব উন্নয়ন হচ্ছে নতুন অর্থনীতি যা হবে ন্যানো টেকনোলজির মেধা ভিত্তিক। এই অর্থনীতিতে থাকবে না পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর বড় বড় মেশিন বা হেভি মেশিনারিজ। কিন্তু সেই জায়গায় যুক্ত হবে সফট ইন্ডাস্ট্রি যেখানে মানুষের বুদ্ধিমত্তাকে পুঁজি হিসেবে ব্যবহার করা হবে। পরিবেশ রক্ষায় শিল্পবর্জ্যকে কমিয়ে আনায় নলেজ ইকোনমি’র মূল লক্ষ্য।

তিনি বললেন, নতুন ব্যবসার টেকসই ধারণা স্টার্টআপ। তাই উদ্ভাবন ছাড়া স্টার্টআপ হবে না ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। তাই স্টার্টআপের জন্য কোনো বিজনেস মডেল নেই।প্রতিষ্ঠান। যা হবে টেম্পরারি। এটাকে সবসময় ডিজপারটিভ হতে হবে।

তার মতে, ডিজিটাল বাংলাদেশ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা হিসেবে সফল। কোভিডের সময় জলাবায়ু পরিবর্তন বিষয়টি যখন সামনে আসে তখন পৃথিবীতে নলেজ ইন্ডাস্ট্রির কনসেপ্ট এসেছে। উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তন, উদ্ভাবনকে দ্রুত বাজারে আনতেই উদ্ভব ঘটেছে স্টার্টআপ এর। এদের মধ্যে একটা লাভ স্টোরি রয়েছে। স্টার্টআপ ছাড়া উদ্ভাবন হবে না। তবে সময়ের সঙ্গে সমাজের ধারণা পরিবর্তন হওয়ায় স্টার্টআপ আরো অনেক ‍দূর এগিয়েছে। এটা একটা ভবিষ্যত ব্যবসার পাথেয়। আর চারটি বিষয়ের উপর উদ্ভাবনের কার্যাবলী নির্ভর করে। ডিসরাপশন, ডিফিউশন, ডিস্ট্রাকশন এবং ডিলেমা। তাই স্টার্টআপ আর স্বাভাবিক ব্যবসাকে একই পাল্লায় মাপা ঠিক হবে না। এর ভ্যাল্যুয়েশেনে নম্বর কোনো বিষয় না। এটি হবে কোয়ালিটেটিভ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রেজাউল করিম স্বাগত বক্তব্যে জানালেন, তার প্রতিষ্ঠান বিনিয়োগকারীদের অল্প সময়ে কম খরচে সর্বোচ্চ মানে ১৪৮টি ধরনের ওয়ানস্টপ সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে ৪৩টি অনলাইনে দেয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, জ্ঞানই শক্তি। এই পার্ক এই এলাকার মানুষের সেই শক্তি অর্জনে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। আমাদের বিশ্বাস এ বিশ্ববিদ্যালয়ে জমি দানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষকে আধুনিক প্রযুক্তিকে আত্মস্থ করতে বিরাট ভূমিকা রাখবে।

অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জেরে অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক মোঃ গোলাম কবির, গোপালগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: খায়রুল আলম, প্রকল্প পরিচালক সব্যসাচী নন্দী প্রমুখ।

At HAMKO Future Tech Academy We are dedicated to shaping the future of technology by equipping students with the skills and knowledge needed to excel in the dynamic world of industrial attachment and freelancing programsHAMKO Future Tech Academy

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here