গতির জগতে এই বিস্ময়কর আবিষ্কারের পেছনে রয়েছেন নিউইয়র্কের রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক-অধ্যাপক রঙ্গা ডায়াস ও তার সহকর্মীরা।
বিশেষ এ ধাতুটি হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন ও লিউটেটিয়াম এই তিনটির মিশ্রণে তৈরি। ধাতুটি সম্পর্কে আরও তথ্য জানা যায় বিজ্ঞানবিষয়ক ‘নেচার’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, হাইড্রোজেন, নাইট্রোজেন ও লিউটেটিয়াম এ তিনটি যৌগ মিশিয়ে দুটি হীরার মধ্যে চাপ প্রয়োগ করে উচ্চগতিসম্পন্ন এ ধাতুটি তৈরি করা হয়েছে।
ধাতুটি তৈরি করার সময় গবেষকরা লক্ষ্য করেন, এ প্রক্রিয়ায় তৈরি হওয়া নতুন ধাতুটি প্রথমে নীল ও পরে লাল রং ধারণ করে। তাই বিজ্ঞানীরা এ ধাতুটির নাম দিয়েছেন ‘রেডম্যাটার’।
মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ফিজিক্সের প্রফেসর রঙ্গা ডায়াস বলেন, এ আবিষ্কারের মাধ্যমে আরও গতির দুনিয়ায় প্রবেশ করতে চলেছে পৃথিবী।
রঙ্গা ডায়াস ও তার সহকর্মীরা আশা করছেন, অত্যাধুনিক দুনিয়ায় প্রবেশের মাধ্যমে মানুষ যে পরিবর্তনগুলো খুব শিগগিরই দেখতে পারবে সেগুলো হলো:
১। ঘণ্টায় ২০০ মিলিয়ন মেগাওয়াট শক্তি পরিবহন করবে। যাতে অন্যরকম এক গতির দুনিয়ার স্বাদ পাবে মানুষ।
২। ট্রেনের গতি দ্বিগুণ হবে।
৩। এ ধাতু আবিষ্কারে চিকিৎসাবিজ্ঞানেরও উন্নতি হবে। যার কারণে এমআরআই, ম্যাগনেটোকার্ডিয়োলজির ইমেজ ও স্ক্যানিং ব্যয় অনেক কমে যাবে।
৪। ডিভাইস টেকনোলজির ডিজিটাল লজিক ও মেমরি ডিভাইসের ক্ষমতা দ্বিগুণ হবে।
৫। এ ধাতু দিয়ে ম্যাগনেটিক্যাল জগতে ফিউশন তৈরি করে আনলিমিটেড পাওয়ার সাপ্লাইও দেয়া সম্ভব হবে।