আজকের ফেসবুক ব্যবহারকারীদের মধ্যে এখনো অনেকেই জানেন না যে আগে সরাসরি ফেসবুক অ্যাপ থেকে মেসেজিং এর সুযোগ ছিলো। কিন্তু একটা সময় ফেসবুক মোবাইল অ্যাপ থেকে মেসেঞ্জারকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আপনি যদি এখন থেকে প্রায় ৯ বছর আগে বাংলাটেক সাইটের নিয়মিত ভিজিটর হয়ে থাকেন তাহলে আপনি হয়ত এ ব্যাপারে আমাদের পোস্ট দেখে থাকবেন। বন্ধ হওয়ার প্রায় ৯ বছর পর আবার ফিচারটি ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছে মেটা।
অর্থাৎ আবারো একই অ্যাপ থেকেই ব্যবহার করা যাবে ফেসবুক ও মেসেঞ্জার। এর ফলে শুধুমাত্র ফেসবুক অ্যাপ থেকে মেসেঞ্জারের সুবিধা উপভোগ করা যাবে, দুইটি আলাদা অ্যাপের দরকার হবেনা।
মেটায় ফেসবুক হেড টম এলিসন সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে জানান যে ব্যবহারকারীগণ যাতে ফেসবুক অ্যাপ থেকে তাদের মেসেঞ্জার অ্যাকসেস করতে পারে তা নিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে যা খুব শীঘ্রই আরও অনেক ব্যবহারকারীর মধ্যে ছড়িয়ে যাবে। তিনি আরো জানান ফেসবুক অ্যাপ থেকে সরাসরি মেসেঞ্জার ব্যবহারের সুবিধা এলে এতে যোগাযোগ ও শেয়ার এর বিষয়টি ব্যবহারকারীদের কাছে অনেক সহজ হয়ে যাবে।
২০১৪ সালে মেসেঞ্জারকে ফেসবুক অ্যাপ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তখন বলা হয় মেসেঞ্জারকে সেরা মোবাইল মেসেজিং এর অভিজ্ঞতাতে পরিণত করা এবং কোনো ধরনের দ্বিধা দূর করা কোম্পানিটির মূল লক্ষ্য।
তবে ফেসবুক এর মোবাইল ব্রাউজার ভার্সনে মেসেজিং এর সুবিধা স্মুথ ভাবে ফিরে আসবে কিনা সে সম্পর্কে এখনো কিছু জানা যায়নি। ২০১৬ সাল থেকে মোবাইল ওয়েব ব্যবহারকারীদের ফেসবুক মেসেজ দেখতে মেসেঞ্জার অ্যাপ ব্যবহারে বাধ্য করা হচ্ছে। মূল কথা হলো ফোনে একটি কম অ্যাপ থাকা খারাপ কিছু নয়। যেহেতু ফেসবুক ও ইন্সটাগ্রাম এর মেসেজিংকে একত্র করা হয়েছে তাই ফেসবুক অ্যাপে মেসেঞ্জার ফেরত আসলে তার মাধ্যমে ইন্সটাগ্রামেও মেসেজ পাঠানো যাবে।
সম্প্রতি ২০২৩সালে মেটা’র লক্ষ্য সম্পর্কিত এক ব্লগ পোস্ট প্রকাশ করে মেটা। এই পোস্টে মেটা ফেসবুক ব্যবহারকারীদের এই ব্যাপারে নিশ্চিত করে যে “Facebook is not dead nor dying,” অর্থাৎ ফেসবুক এখনো একটিভ রয়েছে। এছাড়া ফেসবুকের ২বিলিয়ন ব্যবহারকারীর কথাও উল্লেখ করা হয়।
টিকটক এর সাথে প্রতিযোগিতায় নামার অংশ হিসেবে ফেসবুককে বন্ধু ও পরিবারের সাথে কানেক্ট থাকার অ্যাপ থেকে বিনোদনের অ্যাপে পরিবর্তন করে ফেলেছে মেটা। এলিসন একটি ব্লগ পোস্টে সরাসরি বলে দেন ফেসবুককে “social discovery and sharing” এর সেরা স্থানে পরিণত করতে কাজ করছে মেটা।
ফেসবুক অ্যাপে মেসেজিং এর ফিচার ফিরিয়ে আনার অনেক কারণ রয়েছে। প্রথমত এর মাধ্যমে ফেসবুক অ্যাপ থেকে মেসেজিং করা যাচ্ছে যেকোনো সময় ও যেকোনো প্রয়োজনে, এর ফলে কিছু শেয়ার করতে বা যোগাযোগ করতে বাড়তি একটি অ্যাপে সুইচ করার কোনো প্রয়োজন হচ্ছেনা। এছাড়াও ফোনে একটি কম অ্যাপ থাকলে তার সুবিধা কত রকমের তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।
টিকটকে ব্যবহারকারীগ কোনো ভিডিও দেখলে তা বন্ধুদের সাথে বেশ সহজে শেয়ার করতে পারে বিল্ট-ইন ডিরেক্ট মেসেজিং ফিচারের মাধ্যমে। প্রতিযোগীদের সাথে প্রতিযোগিতার কারণেই হয়ত ফেসবুক ফিরে যাচ্ছে তার আগের রুপে।