স্মার্টফোনের নিচে কেন রাখা হয় এই ছোট্ট ছিদ্র?

নতুন স্মার্টফোন হাতে পেয়েই আমরা ঘাঁটতে শুরু করে দিই। এটা একটা দারুণ আনন্দ। আবিষ্কারের আনন্দ। কত কী করা যায় একটা স্মার্টফোনে। তার কত রকম দৃশ্য, কত শব্দ। সব এক এক করে আবিষ্কার করার মজাই আলাদা।

স্মার্টফোনের কার্যপ্রণালী আবিষ্কার করা, ইন্টারনেট ঘাঁটার পাশাপাশি, ফোনের শরীরে কোথায় কী রয়েছে তা দেখে নেয়া এবং তার উপকারিতা সম্পর্কে জানাও বেশ উৎসাহজনক কাজ।

কিন্তু স্মার্টফোনের একেবারে নিচে একটা ছোট্ট ছিদ্র থাকে, যাতে না ঢোকে হেডফোন জ্যাক, না তা থেকে শব্দ বের হয়। কোন কাজে লাগে এই ছোট্ট ফুটোটি?

স্মার্টফোনে চার্জিং পোর্টের প্রায় সমান্তরালে এ ছোট্ট ছিদ্রটি থাকে। এটা নিয়ে হয়তো আমাদের অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে। কিন্তু সঠিক উত্তর পাওয়া যায়নি।

আজ জেনে নেয়া যাক সেই প্রশ্নের উত্তরই, ঠিক কোন কাজে লাগে এই ছোট্ট ছিদ্রটি—

স্মার্টফোনের একেবারে নিচে, কোনো কোনো চার্জিং পোর্টের পাশে থাকা ছোট ওই ছিদ্রটি আসলে ‘নয়েজ ক্যানসেলেশন মাইক্রোফোন’। হ্যাঁ, ওটাই মাইক্রোফোন যা কথা বলার সময় সক্রিয় হয়ে ওঠে।

এই মাইক্রোফোন কিভাবে কাজ করে?

যখনই আমরা কাউকে কল করতে শুরু করি, তখন এই মাইক্রোফোনটি সক্রিয় হয়ে যা৷ এটি সক্রিয় হওয়ার পরে, যে কোনও অংশ থেকে কথা বলা যেতে পারে। মুখ ফোন থেকে কিছুটা সরে গেলেও গলার আওয়াজ শোনা যাবে স্পষ্ট।

আসলে ফোন করার সময় আমরা হয়তো এমন কোনও জায়গায় থাকতেই পারি, যেখানে প্রচুর শব্দ চারপাশে। সেসময় কাউকে জরুরি ফোন করতে হলে সমস্যা তো হবেই। কিন্তু এই ছোট্ট ছিদ্রটি সেই সমস্যা অনেকাংশেই দূর করতে পারে।

এ ছিদ্রটি সর্বদা একটি স্মার্টফোনের নিচের দিকে দেয়া হয়, চার্জিং পোর্টের সমান্তরালে। সেক্ষেত্রে কথা বলার সময় বাইরে শব্দকে অনেকটা ছেঁটে ফেলেই উল্টাদিকের মানুষটির কানে কথা পৌঁছে দেয় এই যন্ত্র। তার ফলেই আমাদের কথা বার্তা চলতে থাকে।

At HAMKO Future Tech Academy We are dedicated to shaping the future of technology by equipping students with the skills and knowledge needed to excel in the dynamic world of industrial attachment and freelancing programsHAMKO Future Tech Academy

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here