খুলনাতে পলিটেকনিক/ডিপ্লোমা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল এটাচমেন্ট ট্রেনিংHAMKO_Future_Tech_Academy

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে চাকরি হারাবেন ৩০ কোটি মানুষ!

বিশ্বজুড়ে কর্মহীনতার বাড়বাড়ন্তে অশনি সঙ্কেত দেখছেন সকলেই। এর মধ্যেই নতুন করে আশঙ্কা বাড়িয়েছে আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। গবেষকদের দাবি, অদূর ভবিষ্যতেই চাকরি হারাতে চলেছেন ৩০ কোটি মানুষ। আর তাদের জায়গা নেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই তথ্য।

যেভাবে সমস্ত কাজের ক্ষেত্রেই আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগের চেষ্টা করা হচ্ছে, তা নিয়ে সামনে ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখছিলেন বিশেষজ্ঞরা। মনে করা হচ্ছিল, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আরো উন্নত প্রয়োগ ঘটানো গেলে তা দিয়েই একাধিক মানুষের কাজ সামলে ফেলা যাবে। কিন্তু তেমনটা হলে যে অনেক মানুষ তাদের কাজ হারাবেন, তা নিয়েও সংশয়ের অবকাশ নেই। যেখানে বিশ্বজুড়ে কর্মহীনতার জের ক্রমশ এক মহামারির রূপ নিতে বসেছে, সেখানে আরো মানুষের কাজ হারানো নিয়ে আশঙ্কা ছিলই। আর সেই আশঙ্কাতেই এবার কার্যত শিলমোহর দিলো এক সমীক্ষা। যেখানে স্পষ্ট দাবি করা হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জেরে চাকরি হারাতে পারেন ৩০ কোটি মানুষ।

জুতাসেলাই থেকে চণ্ডীপাঠ, এআই যেন সবই করতে পারে। অন্তত এর নির্মাতারা তো তেমনভাবেই প্রচার করছেন। কম্পিউটারে কাজ কিংবা বই লেখা, সবই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বারা সম্ভব। এমনকি প্রেমপত্র লেখাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এবার এত কাজ যদি স্রেফ একটা যান্ত্রিক প্রযুক্তি করতে ফেলতে পারে তাহলে আর মানুষের দরকার কেন? এ কথা ভাবতে শুরু করেছেন বিশ্বের বুদ্ধিজীবী মহলের একাংশ। তাদের সেই আশঙ্কাতেই যেন শিলমোহর দিলো এই সাম্প্রতিক সমীক্ষা। গবেষকদের দাবি, ইতিমধ্যেই অনেক অফিসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্যেই বিভিন্ন কাজ করে নেয়া হচ্ছে। আগামী দিনে তা বাড়বে বই কমবে না। তাদের আশঙ্কা, অদূর ভবিষ্যতে কর্মজগতের প্রায় এক চতুর্থাংশ কাজই এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা করবে। ফলত কর্মহীন হয়ে পড়বেন সেখানে কর্মরত ব্যক্তিরা।

.

এছাড়াও, ঠিক কোন কোন ক্ষেত্রে কাজ হারাতে পারে মানুষ, সে তথ্যও জানিয়েছে ওই সমীক্ষা। এই তালিকায় সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থানে রয়েছে প্রশাসনিক ক্ষেত্র। গবেষকদের দাবি, প্রায় ৪৬ শতাংশ প্রশাসনিক কাজ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিস্থাপন করতে পারে। তাই প্রশাসনিক পদে কর্মরত অনেকেই এর জেরে চাকরি হারাতে পারেন। এরপরই রয়েছে আইনি কাজকর্ম। সেখানেও নাকি ৪৪ শতাংশ মানুষের চাকরি প্রতিস্থাপন করতে পারে এআই। পাশাপাশি লেখালাখি, ছবি আঁকা ইত্যাদি বিভিন্ন কাজ খুবই কম সময়ের মধ্যে করে ফেলতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তাই এসব কাজের সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের কাজও কিন্তু এই মুহূর্তে যথেষ্ট বিপদের মুখে। তবে যেসব কাজে কায়িক পরিশ্রম প্রয়োজন, সেগুলোকে বিপন্মুক্ত বলেই চিহ্নিত করা হয়েছে।

গবেষকদের দাবি অনুযায়ী, ঘর পরিষ্কার করা, নতুন কিছু তৈরি করা এসব ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা খুব একটা কাজে লাগবে না। মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়া এসব কাজ প্রায় অসম্ভব বলে মনে করেছেন গবেষকরা। তবে যেভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা উন্নত থেকে উন্নততর হয়ে উঠছে, তাতে ভবিষ্যতে ওই কাজেও যে সে ভাগ বসাবে না, এ কথা জোর দিয়ে বলতে পারছেন না কেউই। এমনকি যারা এই প্রযুক্তি নিয়ে এসেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পক্ষে তাদেরও একদিন প্রতিস্থাপন করে ফেলা অসম্ভব নয়, এমনটাই দাবি গবেষকদের।

Hamko ICT Ltd. is a Bangladeshi tech company having primarily focused on software development service in home and abroad. HAMKO_ICT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here