গত বছরের নভেম্বরে মাইক্রোসফটের অর্থায়নে তৈরি চ্যাটজিপিটি বাজারে আনে মার্কিন প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই। এর পর থেকেই বিশ্বাসযোগ্যভাবে ফিশিং ই-মেইল লেখার জন্য চ্যাটজিপিটির কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করায় আগের তুলনায় নিখুঁতভাবে ফিশিং ই-মেইল লিখছেন সাইবার অপরাধীরা। ফলে অনেকেই প্রতারিত হচ্ছেন। তবে চাইলেই ৫টি কৌশল অবলম্বন করে ফিশিং ই-মেইল থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব। কৌশলগুলো দেখে নেওয়া যাক—
ই-মেইল প্রেরকের ঠিকানা পরীক্ষা
কোনো সন্দেহজনক ই-মেইল খোলার আগেই প্রেরকের ঠিকানা পরীক্ষা করতে হবে। প্রেরকের ঠিকানা থেকে কোনো ই-মেইল আসার কথা ছিল কি না, তা-ও ভাবতে হবে। কারণ, চ্যাটজিপিটি কাজে লাগিয়ে সুন্দরভাবে ফিশিং ই-মেইল লিখলেও সাধারণত একই ধরনের ঠিকানা ব্যবহার করেন অপরাধীরা।
তথ্য পর্যালোচনা
অপরিচিত কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের পাঠানো ই-মেইলে যদি জরুরি ভিত্তিতে তথ্য জমা দিতে বলা হয়, তবে সতর্ক হতে হবে। শুধু তা-ই নয়, তথ্য চাওয়ার কারণ ভালোভাবে পর্যালোচনা করতে হবে। কারণ, ব্যাংক বা কোনো প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের কাছে গোপন কোনো তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে সংগ্রহ করে না।
লিংকে ক্লিক করার আগে
কোনো ই-মেইলে লিংক যুক্ত থাকলে সেখানে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে অন্য কোনো মাধ্যম থেকে ই-মেইল পাঠানো প্রতিষ্ঠানটির কল সেন্টারের নম্বর সংগ্রহ করে ফোন করতে হবে। বিশ্বাসযোগ্য মনে হলেই কেবল লিংকে ক্লিক করতে হবে।
ছবি বা লেখার ভাষা যাচাই
ফিশিং ই-মেইলের লিংকে ক্লিক করতে প্রলুব্ধ করার জন্য বিভিন্ন আকর্ষণীয় তথ্য ও ছবি ব্যবহার করা হয়। তবে এসব ছবি ও তথ্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করে জোড়া দেওয়া হয়। ফলে কোনো প্রতিষ্ঠানের পাঠানো ই-মেইলে ছবির মান খারাপ হলে বা তথ্যে গরমিল থাকলে সেটি ফিশিং ই-মেইল হতে পারে।
সন্দেহজনক ওয়েবসাইট পরীক্ষা
কোনো অপরিচিত প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ই-মেইল পাওয়ার পর সরাসরি সেই প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে বিভিন্ন তথ্য যাচাই করতে হবে। শুধু তা-ই নয়, ওয়েবসাইটে সরাসরি যোগাযোগের জন্য কোনো ফোন নম্বর না থাকলে বা প্রশ্নের উত্তর না দিলে সেটি ফিশিং ই-মেইল হওয়ার আশঙ্কাই বেশি।
সূত্র: ডেইলি মেইল