এ বছর বিভিন্ন ম্যানুফ্যাকচারিং প্রতিষ্ঠানে র্যানসমওয়্যার হামলা চালিয়ে তথ্য এনক্রিপশন বেশি করেছে সাইবার অপরাধীরা। ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে ম্যানুফ্যাকচারিং এবং উৎপাদন খাতে র্যানসমওয়্যার হামলার মাধ্যমে ৬৮ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের তথ্য এনক্রিপ্ট (বিশেষ কোড) করেছে তারা। তথ্য এনক্রিপশনের এই হার গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান সফোস।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, র্যানসমওয়্যার হামলার বিষয়ে তথ্য জানার জন্য সম্প্রতি ‘দ্য স্টেট অব র্যানসমওয়্যার ইন ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যান্ড প্রোডাকশন–২০২৩’ শীর্ষক এক জরিপ চালিয়েছে সফোস। জরিপে ম্যানুফ্যাকচারিং এবং উৎপাদন খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে র্যানসমওয়্যার সাইবার হামলার ঘটনা পর্যালোচনা করা হয়। জরিপে অংশ নেওয়া দুই-তৃতীয়াংশের বেশি প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, র্যানসমওয়্যার হামলা চালিয়ে তাদের তথ্য এনক্রিপ্ট করেছে সাইবার অপরাধীরা।
তথ্য এনক্রিপশনের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি তথ্য আলাদাভাবে সংরক্ষণ (ব্যাকআপ) করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও বেড়েছে। জরিপে দেখা গেছে, সাইবার হামলার শিকার হওয়া ৭৩ শতাংশ প্রতিষ্ঠানই তথ্য আলাদাভাবে সংরক্ষণ করেছে, এ সংখ্যা গত বছর ছিল মাত্র ৫৮ শতাংশ। তথ্য সংরক্ষণ করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়লেও এই খাতে এনক্রিপশন করা তথ্য পুনরুদ্ধারের হার সর্বনিম্ন।
র্যানসমওয়্যার হামলা থেকে নিরাপদ থাকতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন সফোসের বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সাইবার হামলা থেকে রক্ষা পেতে হলে শক্তিশালী অ্যান্টি-এক্সপ্লোয়েট ক্ষমতাসম্পন্ন এন্ডপয়েন্ট প্রটেকশন এবং জিরো ট্রাস্ট নেটওয়ার্ক অ্যাকসেসের (জেডটিএনএ) পাশাপাশি সাইবার হামলা শনাক্তে সক্ষম প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য নিয়মিত আলাদাভাবে সংরক্ষণ করাসহ নিরাপত্তা সুবিধা হালনাগাদ করতে হবে।