এবার নাইটক্লাবে ডিজের ভূমিকায় এআই
বিভিন্ন কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) ব্যবহার এখন আর নতুন নয়। তবে ধীরে ধীরে এর পরিধি আরও বাড়ছে। আমরা কল্পনাও করতে পারিনি এমন সব কাজে ব্যবহার হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ঠিক তেমনেই সম্প্রতি ইস্ট লন্ডনের একটি নাইটক্লাবের পার্টিতে অংশগ্রহণকারীরা ডিজে হিসেবে ব্যবহার করেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ইউক্রেনীয় এবং রাশিয়ান ডেভেলপারদের একটি দল এটি তৈরি করে। অ্যাপ্লিকেশনটির নাম মুবার্ট।
সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এটি গদ্য, কবিতা এমনকি কম্পিউটার কোড অন কমান্ডের খসড়া তৈরি করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছে। যার কারণে বিনিয়োগকারীরা এআই-কেন্দ্রিক স্টার্টআপগুলোতে অনেক অর্থ ব্যয় করছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথম ডিজে হিসেবে ব্যবহৃত হয় এআই। এটি সর্বপ্রথম দ্য গ্লোভ দ্যাট ফিটস বারে জর্জ পিনেগার নামের একজন দ্বারা পরিচালিত হয়।
রয়টার্সকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে পিনেগার বলেন, যদি এআই প্রযুক্তি মিউজিক তৈরি করা যায় এবং এটি আমরা একসঙ্গে উপভোগ করতে পারি, তবে এটি আমাদের জন্য একটি উপহার।
মুবার্ট মানুষের তৈরি লুপ এবং স্যাম্পল থেকে নতুন মিউজিক তৈরি করতে পারে। মানুষের পছন্দ এবং অপছন্দের ওপর ভিত্তি করে এটি কাজ করে।
মুবার্টের সিইও পল জগোরদানের মতে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উত্থানের ফলে অনিবার্যভাবে কিছু সংগীতশিল্পী চাকরি হারাবেন।
আর্মেনিয়ার রাজধানী ইয়েরেভান থেকে ভিডিও লিংকে মাধ্যমে রয়টার্সকে জগোরদান বলেন, আমরা সংগীতশিল্পীদের চাকরি বাঁচাতে চাই, কিন্তু আমাদের নিজস্ব উপায়ে।
আমরা সংগীতশিল্পীদের এআই দিয়ে অর্থ উপার্জন করার সুযোগ দিতে চাই। এছাড়া আমরা মানুষকে এখানে চাকরিও দিতে চাই। ৩৫ বছর বয়সী এই নির্বাহী নিজেও একজন ডিজে এবং সংগীতশিল্পী।
ডিজে বুথ সাধারণত পার্টির ফোকাস ধরে রাখে। এআই ডিজে মানুষ কীভাবে গ্রহণ করছে তা দেখার জন্য একটি পার্টিতে এই বুথ ফাঁকা রাখা হয়। বেশিরভাগ মানুষই অ্যাপ্লিকেশনটির প্রশংসা করেছেন।
অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে ২৬ বছর বয়সী এক কম্পিউটার প্রোগ্রামার বলেন, এখন পর্যন্ত এটি বেশ ভালো কাজ করছে। তবে জগরদান অ্যাপ্লিকেশনটিকে চ্যাটজিটিপির পর্যায়ে নিয়ে যেতে চায়, তাকে আরও কাজ করতে হবে।