আজ থেকে ৫০ বছর আগে এই দিনে মুঠোফোন (সেলুলার ফোন) উদ্ভাবন করেন মার্টিন কুপার। লম্বা অ্যান্টেনাসহ ইট আকৃতির মটোরোলা ডাইনাট্যাক ৮০০০ এক্স মডেলের মুঠোফোনটি কাজ করবে কি না, তা নিয়ে তখন উদ্বিগ্ন ছিলেন কুপার। ৭৮৪ গ্রাম ওজনের মুঠোফোনটি দিয়েই সেদিন ফোনকল করেছিলেন তিনি। এরপর ১৯৮৩ সালে মুঠোফোনটি বিক্রির জন্য যুক্তরাজ্যের বাজারে ছাড়া হয়। সে সময় এর মূল্য ছিল তিন হাজার পাউন্ড।
৩ এপ্রিল ১৯৭৩
লম্বা অ্যান্টেনাসহ ইট আকৃতির মটোরোলা ডাইনাট্যাক ৮০০০ এক্স মডেলের মুঠোফোন উদ্ভাবন করেন মার্টিন কুপার। এটি কাজ করবে কি না, তা নিয়ে তখন উদ্বিগ্ন ছিলেন কুপার। ৭৮৪ গ্রাম ওজনের মুঠোফোনটি দিয়ে সেদিন প্রথম ফোনকল করেছিলেন তিনি।
১৯৮৩
১৯৮৩ সালে মটোরোলা ডাইনাট্যাক ৮০০০ এক্স মডেলের মুঠোফোনটি বিক্রির জন্য যুক্তরাজ্যের বাজারে ছাড়া হয়। সে সময় এর মূল্য ছিল তিন হাজার পাউন্ড।
১৯৮৯
প্রথম ফ্লিপ ফোন হিসেবে বাজারে আসে মটোরোলা মাইক্রোট্যাক ৯৮০০ এক্স।
১৯৯১
বিশ্বের প্রথম জিএসএম বা ডিজিটাল মুঠোফোন বাজারে আনে অরবিটেল নামের একটি ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠান।
১৯৯২
প্রথম টেক্সট বার্তা পাঠানোর সুবিধাযুক্ত টিপিইউ ৯০১ মডেলের মুঠোফোন বাজারে আনে অরবিটেল। সে বছর প্রথম জিএসএম মুঠোফোন বাজারে আনে নকিয়া। ২৩৪ পাউন্ড মূল্যের নকিয়া ১০১১ মডেলের মুঠোফোনটি বাজারে আসার পরপরই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল।
১৯৯৪
প্রথম গেম খেলার সুবিধাযুক্ত হ্যাগেনাক এমটি ২০০ মডেলের মুঠোফোনে বাজারে আসে। ফলে মুঠোফোনে কথা বলার পাশাপাশি বিনোদনেরও সুযোগ চালু হয়।
১৯৯৭
সিমেন্স এস ১০ প্রথম রঙিন পর্দার মুঠোফোন বাজারজাত শুরু করে। লাল, সবুজ, নীল ও সাদা এ চার রং সমর্থন করত মুঠোফোনটি।
১৯৯৯
১৯৯৯ সালের অক্টোবরে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা যুক্ত প্রথম নকিয়া ৭১১০ মডেলের মুঠোফোন বাজারে আসে।
২০০০
প্রথম ক্যামেরা যুক্ত মুঠোফোন বাজারে আনে জাপানের শার্প। জে–ফোন জে–এসএইচ০৪ মডেলের মুঠোফোনটিতে প্রথমবারের মতো পলিফোনিক রিংটোনও যুক্ত করা হয়।
২০০৩
ব্ল্যাকবেরির ৬২১০ মডেলের মুঠোফোনে প্রথম থ্রি–জি প্রযুক্তি সুবিধা যুক্ত হয়। সে বছরই সেলফি ক্যামেরাযুক্ত জেড ১০১০ মডেলের মুঠোফোনে বাজারে আনে সনি এরিকসন।
২০০৬
এলজি প্রাডা নামের প্রথম স্পর্শনির্ভর পর্দার মুঠোফোন বাজারে আসে।
২০০৭
আইফোন বাজারে আসে। ৮ গিগাবাইট সংস্করণের আইফোনটি অ্যাপলের সর্বাধিক বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের একটি।
২০০৯
স্মার্টফোন বিকাশের শুরু। যুক্ত হতে থাকে দৈনন্দিন জীবনের নানা সুবিধা। সে সময়ই যুক্ত হয় কণ্ঠস্বর শণাক্তের প্রযুক্তি।
২০১১
বড় আকৃতির স্মার্টফোন বা ফ্যাবলেট বাজারে আনে স্যামসাং।
২০১২
ফোর–জি প্রযুক্তি চালুর পর মুঠোফোনের বাজার আরও বড় হতে থাকে। এইচটিসি ইভো ছিল প্রথম ফোর–জি সমর্থিত মুঠোফোন।
২০১৯
ফাইভ–জি প্রযুক্তি চালু হয়। এরপরের বছরগুলোয় বড় পর্দার মুঠোফোনের সবচেয়ে বেশি উন্নয়ন হয়েছে। যোগ হয়েছে নতুন নতুন প্রযুক্তি।
বর্তমানে ভাঁজযোগ্য স্পর্শনির্ভর পর্দার মুঠোফোন বাজারে আনতে কাজ করছে শীর্ষ মুঠোফোন নির্মাতারা।
সূত্র: মেইল অনলাইন