যেভাবে বুঝবেন আপনার আইফোনে নতুন ব্যাটারি প্রয়োজন
ব্যাটারির ক্ষেত্রে অ্যাপলের বদনাম আছে। তারা ফোন আপডেটের মাধ্যমে ধীরগতির করে দেয় এবং পরবর্তীতে ছাড়ে ব্যাটারি রিপ্লেসের অফার চালু করে। এমনকি সেটিংস অপশনে ব্যাটারি পার্সেন্টেজ দেখারও একটি অপশন চালু করে। আইফোনে লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। তাই যত দিন যাবে ব্যাটারির আয়ুও কমতে থাকবে। এজন্য পুরনো মডেলের আইফোন নতুন মোবাইলের মতো ভালো সার্ভিস দেবে না। ব্যাটারির কারণে অ্যাপ দেরিতে চালু হয় এবং ডিসপ্লের ফ্রেমরেটও কমে যায়। ব্যাটারি যদি প্রসেসরে পর্যাপ্ত শক্তি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয় তবে ফোন তো স্লো হবেই। কাজেই ব্যাটারি পরিবর্তন করার সময় মোবাইল সার্ভিস সেন্টারে যেতেই হবে।
কিন্তু কখন বুঝবেন ব্যাটারি বদল করতে হবে? শুধু ব্যাটারি পার্সেন্টেজের ওপর নির্ভর করে তো আর করা যাবে না। শুধু শুধু টাকা খরচ হতে পারে। সে কথা জানাতেই আমাদের কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন।
কখন ব্যাটারি বদলাবেন
আইফোনের ব্যাটারি হেলথ ৮০ শতাংশের নিচে নামলেই স্ক্রিন অন টাইম কমে যাবে। এই সময়ে ব্যাটারিটা বদলে নিতে হবে। তবে ৮০ শতাংশের নিচে নামার সঙ্গে সঙ্গেই করার দরকার নাও হতে পারে। লক্ষ করবেন আপনার অ্যাপ হুটহাট ক্র্যাশ করছে। আবার ফ্রেমড্রপেরও দেখা পাওয়া যাচ্ছে। এগুলো ব্যাটারির কারণে হয়। আর ব্যাটারি হেলথ মনিটরিং থাকায় ব্যাটারি বদল করা আইফোনের জন্য অনেক সহজ।
কখন আইফোনের ব্যাটারি বদলাতে হবে না
আইফোনের যেসব মডেলে আইওএস ১৬ বা এর ওপরের ভার্সনের সফটওয়ার রয়েছে তাদের ফোন যথেষ্ট স্ট্যাবল। এই মডেলের ব্যাটারি এখনই বদলানোর প্রয়োজন নেই। যদি ব্যাটারি হেলথ ৮০ শতাংশের ওপরে বা কাছাকাছি থাকে তাহলে ভালোভাবেই ব্যবহার করতে পারবেন।
আইফোনের ব্যাটারি সমস্যা সম্পর্কে ভুল কিছু ধারণা
আইফোনের ব্যাটারির সমস্যা অনেকে বুঝতে পারেন না। তারা সচরাচর নানা হ্যাক দিয়ে সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু কিছু ভুল আপনাদের জানা জরুরি। এই যেমন-
ফোনের অ্যাপ বন্ধ করে দিলেই আইফোনের ব্যাটারি পার্ফর্ম্যান্স ভালো হয় না। আইফোনের সফটওয়ার এমনভাবে ডেভেলপ করা হয়েছে যাতে অল্প পরিমাণ রিসোর্স ব্যবহার করেও ভালোভাবে কাজ করতে পারে। হার্ডওয়ারে সমস্যা হলে বরং ফোনের পার্ফর্ম্যান্স কমবে।
অনেকে মনে করেন ব্লুটুথ ও ওয়াই ফাই বন্ধ রাখলে ব্যাটারি হেলথ ভালো থাকে। এমনটিও ভুল ধারণা। নতুন আইফোন মডেলগুলো ভালোভাবে অপটিমাইজ করা। ব্লুটুথ বা ওয়াই ফাই ব্যবহার না হলে নেটওয়ার্ক চিপ এই ফিচারগুলো সাময়িক সময়ের জন্য বন্ধ করে দিতে পারে। তবে ব্লুটুথ আর ওয়াই ফাই বন্ধ করলে চার্জ কিছুটা বাঁচানো যায়।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস