টুইটারের ‘বিকল্প’ আনলেন জ্যাক ডরসি ব্লু স্কাই
সামাজিক প্ল্যাটফর্ম টুইটারের সাবেক প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসি’র নতুন প্ল্যাটফর্ম ‘ব্লু স্কাই’য়ের বেটা সংস্করণ চালু হয়েছে অ্যাপ স্টোরে। কেবল আমন্ত্রণের ভিত্তিতে চালু করা অ্যাপটি শীঘ্রই মাস্টডন’সহ টুইটারের প্রতিদ্বন্দ্বী প্ল্যাটফর্মগুলোর তালিকায় নাম লেখাতে পারে বলে ধারণা প্রকাশ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট এনগ্যাজেট। আগ্রহী ব্যবহারকারীরা নিজেদের ইমেইল ঠিকানা জমা দিয়ে অ্যাপটির অপেক্ষমান তালিকায় যোগ দিতে পারবেন। শোনা যাচ্ছে, নতুন অ্যাপটি সম্ভবত টুইটারের কাছ থেকে বেশ কিছু ফিচার ‘ধার করেছে’।
উদাহরণ হিসেবে, টুইটারের ‘হোয়াটস হ্যাপেনিং’-এর বদলে এতে ‘হোয়াটস আপ’ বাক্যটি ব্যবহৃত হয়েছে। পাশাপাশি, একটি ‘প্লাস’ বাটনের মাধ্যমে এতে পোস্ট তৈরির প্রক্রিয়াও তুলনামূলক সহজ হয়েছে (আর এতে ছবিও যোগ করা যাবে)। অন্যদিকে, এর হোম টাইমলাইনে ব্যবহারকারীকে সার্চ, ফলো ও পোস্ট দেখার মতো বিভিন্ন পরিচিত ফিচারও আছে। ব্লুস্কাইয়ের আত্মপ্রকাশ ঘটে ২০১৯ সালে, টুইটারের অর্থায়নে একটি পার্শ্ব প্রকল্প হিসেবে। সে সময় টুইটারের সিইও ছিলেন ডরসি। তখন থেকেই একে তিনি তুলনামূলক টুইটারের বিকল্প হিসেবে বিবেচনা করেন।
পরবর্তীতে, ২০২১ সালে নিজেই একটি কোম্পানি হিসেবে যাত্রা শুরু করে ব্লুস্কাই। ডরসি বলেন, তার বিশ্বাস, সামাজিক মাধ্যমগুলো বিভিন্ন কর্পোরেট বা সরকারের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকার পাশাপাশি কেবল পোস্টদাতাদেরই নিজস্ব কনটেন্ট সরানোর ক্ষমতা থাকা উচিত্।
৬ জানুয়ারির ক্যাপিটল দাঙ্গার ঘটনার কারণে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর সামাজিক প্ল্যাটফর্ম টুইটারের নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্তকে সে সময় তিনি ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ হিসেবে আখ্যা দিলেও এতে ‘বিনামূল্যের ও উন্মুক্ত ইন্টারনেট’ ঝুঁকির মুখে পড়া নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করেন তিনি।
উল্লেখযোগ্য হারে পার্থক্য গড়ে দেওয়ার লক্ষ্যে বিশাল সংখ্যক টুইটার ব্যবহারকারী প্ল্যাটফর্মটি ছেড়ে ব্লুস্কাইয়ে (বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে) পাড়ি জমাবে কি না, তা এখনও এমন এক প্রশ্ন, যার উত্তর কেবল অনুমানই করা সম্ভব। এদিকে, টুইটারের বর্তমান মালিক ইলন মাস্কের অতি-ডানপন্থী ব্যক্তিত্ব ও মতাদর্শের ‘শিরোনাম-আঁকড়ে ধরায়’ বিকল্পের খোঁজে অনেক ব্যবহারকারীই প্ল্যাটফর্মটি ছেড়ে দিচ্ছেন।
এনগ্যাজেট বলছে, এটা আশা করা অযৌক্তিক হতে পারে যে ব্যবহারকারীরা এমন একজনের ‘ব্রেইনচাইল্ডের’ ওপর ঝাঁপিয়ে পড়বে, যারা যে কোনো কারণ দেখিয়ে ব্যবহারকারীদের নিষিদ্ধ করে।