কর্মক্ষেত্রে কী মানুষের বিকল্প হয়ে উঠবে চ্যাটজিপিটি
চ্যাটজিপিটির উন্নতি অনেক খাতের মানুষের জন্যই আতঙ্কে রূপ নিয়েছে। বিশেষত চ্যাটজিপিটির মতো চ্যাটবটের উদ্ভাবন বিভিন্ন খাতে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে শুরু করেছে। শিক্ষা, অর্থনীতি এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখালেখি কিংবা মৌলিক লেখালেখির কিছু কর্মসংস্থান থাকলেও তা হারিয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন অনেকে। বিশেষত লেখালেখি কিংবা ছোটখাটো কাজ পাওয়া যায় এমন কিছু কর্মসংস্থান মানুষ হারাচ্ছে। কন্টেন্ট রাইটিং, ইমেইল বা সিভি তৈরির কাজ, ক্যাপশন লেখা এমনকি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং দেখার কাজটি এখন চ্যাটজিপিটির মাধ্যমেই করা সম্ভব। ফলে চ্যাটজিপিটি অনেকেরই কর্মসংস্থানে বাগড়া দিতে পারে।প্রযুক্তি প্রতিবেদক, ক্রিস-স্টোকেল ওয়াকার জানিয়েছেন, প্রযুক্তিটি আনকোড়া। তবে এখন পর্যন্ত যা দেখিয়েছে তাতেই অনেক চমক দেখা গেছে। যারা নির্দেশনা পেয়ে লিখেন কিংবা লেখালেখির সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের হয়তো কিছুটা ঝামেলা হবে।এখন পর্যন্ত এটি একটি বড় শঙ্কা। কিন্তু চ্যাটজিপিটির কিছু ভালো ব্যবহারের বিষয়ও তো সামনে এসেছে। সেখান থেকে আন্দাজ করা যেতেই পারে এই প্রযুক্তি আরও নতুন ও দ্রুত সমন্বয়ক কর্মসংস্থান গড়ে তুলতে পারে। সে বিষয়েও অনেকে এগিয়ে গেছেন। অনেক সফটওয়ার নির্মাণের ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির এপিআই সংযুক্ত করা হচ্ছে এবং মানুষের নিয়ন্ত্রণে চ্যাটজিপিটির ব্যবহার করে ভালো লেখা বের করারও সেবা চালু হয়ে গেছে। তাই মানুষ নিয়ন্ত্রণ করলে হয়তো এই শঙ্কা কাটিয়ে উঠতে পারবে।