কিভাবে রোজা রাখেন মুসলিম মহাকাশচারীরা?
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আজ বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু হয়ে গেছে রমজান মাস। অনেক দেশে আবার আগামীকাল শুক্রবার থেকেই শুরু হবে মুসলিমদের জন্য পবিত্র এই মাস। রোজা রাখার যেমন নানা আয়োজন, তেমন হরেক রমকমের ইফতারির আয়োজনও থাকে। সুস্বাদু সব খাবার আর সবাই মিলে রোজার আনন্দ ভাগ করে নেওয়া। সিয়াম সাধনার মাস জুড়েই তাই মুসলিমদের মাঝে থাকে একরমক উৎসব উৎসব ভাব।
কিন্তু মহাকাশের চিত্রটা যেন উল্টো। আছে নানা প্রতিবন্ধকতা। সে খাবারের যেমন, তেমন সময়ের হিসেবেও।তাই মহাকাশে যেসব মুসলিমরা থাকেন তাদের রোজা কেমন কাটে? কোন পদ্ধতিতে রোজা রাখেন তারা? কারণ, মহাকাশে থাকার সময় দিনে কয়েকবার দেখতে হয় সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয়।
প্রতি ঘণ্টায় ১৭ হাজার মাইল বেগে ঘোরে মহাকাশ স্টেশন। ফলে প্রতিদিন (২৪ ঘণ্টায়) ১৬ বার সূর্যাস্ত আর সূর্যোদয় প্রত্যক্ষ করেন মহাকাশচারীরা।
এ কারণেই সময় ধরে হিসেব করে মুসলিম মহাকাশচারীদের রোজা রাখতে হয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের নভোচারী সুলতান আলনেয়াদির এবারের রমজান কাটাতে হবে মহাকাশ স্টেশনে। পাঁচ মাসের মিশনে তিনি ৩রা মার্চ মহাকাশে গেছেন। তার সাথে আরও কয়েকজন মুসলিম মহাকাশচারী আছেন এই মিশনে।
এ বিষয়ে সুলতান বলেন, ‘মিশনে ছয় মাস দীর্ঘ সময়। এটা একটা বড় দায়িত্বও।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘যদি ভালো অনুভব করা না যায় (শরীর খারাপ লাগে) তবে রোজা রাখা এখানে বাধ্যতামূলক নয়। পুষ্টিহীনতা ও জল শূন্যতা এড়াতে আমাদের পর্যাপ্ত খাবার খাওয়ার অনুমতি আছে।’
তবে সুযোগ পেলে মহাকাশে রোজা রাখবেন বলে আগেই জানিয়ে গিয়েছিলেন সুলতান।
তাই সুযোগ সুবিধার ওপর নির্ভর করে অনেক মহাকাশচারীই নিজেদের ধর্ম পালন করে থাকেন। মুসলিমরা তাদের ইবাদতে পৃথিবীর সাথে সময় সমন্বয় করে নেওয়ার চেষ্টা করেন। যদিও কখনো কখনো পরিস্থিতির কারণে সেখানে খানিকটা পার্থক্যও ঘটে।