কম্পিউটারের গতি ধীরে ধীরে কমে যায় কেন?

সাধারণ অভিজ্ঞতায় দেখেছি, নতুন কম্পিউটারে গতি বেশ দ্রুত থাকে। কিন্তু কিছুদিন পর গতি কমতে থাকে। পুরোনো সব যন্ত্রপাতিরই গতি কমে যায়, এটা আমরা জানি। বেশি দিন চলার কারণে কলকবজা তো ক্ষয় হবেই। তাই তার কাজের গতি কমে যাওয়াই স্বাভাবিক। কিন্তু কম্পিউটারের গতি কমার অন্য আরও কিছু কারণ রয়েছে। কম্পিউটারের কাজের গতি মূলত নির্ভর করে সিপিইউ বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটের ওপর। এর র‍্যাম (র‍্যানডম অ্যাকসেস মেমোরি), ভেতরের হার্ডডিস্ক মেমোরি কার্ড, এর গ্রাফিকস সিস্টেম, ইন্টারন্যাল হার্ডওয়্যার সিস্টেমের গতি ও সক্ষমতা—এই সবকিছু কম্পিউটারের গতি নির্ধারণে ভূমিকা রাখে। এখন ধরা যাক কম্পিউটারে আমি কাজ করার সময় হার্ডওয়্যারে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত তথ্য রাখলাম। বিভিন্ন কাজের জন্য প্রয়োজনের অতিরিক্ত সফটওয়্যার রাখলাম। অনেক সময় আমরা ডেস্কটপে ফাইল খুলে ওই ফাইলে সরাসরি কাজ করি। ফলে ডেস্কটপের ওপর বেশি চাপ পড়ে। কম্পিউটার চালু করার জন্য যেসব সফটওয়্যার দরকার, সেগুলো যদি বড় ফাইল হয়, তাহলে অন করার পর কম্পিউটার চালু হতে কিছু সময় নেবে। প্রথমে এ রকম সফটওয়্যার ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারগুলোই কম্পিউটারে লোড করে রাখা হয়। কিন্তু কিছুদিন ব্যবহারের পর নতুন নতুন সফটওয়্যার লোড করতে থাকি। ফলে কম্পিউটার অন করার পর স্টার্ট নিতে একটু বেশি সময় লাগে। কিছুদিন পরপর অপারেটিং সিস্টেম রিইনস্টল করতে হয়। না হলে কম্পিউটারের গতি কমে যায়। উইন্ডোজ ভার্সন প্রায়ই আপডেট হয়। নতুন ভার্সন কম্পিউটারে সেট না করলে অনেক সময় দেখা যায় ই–মেইলে আসা কোনো ফাইল খোলা সময়সাপেক্ষ হয়ে পড়ে। তাই কম্পিউটারের গতি ঠিক রাখার জন্যও অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করা দরকার। এই সব প্রযুক্তিগত বিষয় তো আছেই। কিন্তু একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে ধুলা কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে জমে এর গতি কমিয়ে দিতে পারে। তাই সব সময় ধুলামুক্ত রাখলে কম্পিউটারের গতি ঠিক থাকে।

At HAMKO Future Tech Academy We are dedicated to shaping the future of technology by equipping students with the skills and knowledge needed to excel in the dynamic world of industrial attachment and freelancing programsHAMKO Future Tech Academy

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here