উদ্বেগ উৎকণ্ঠা শনাক্ত করবে রোবট
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার রোবট নিয়ে জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই। এদের নিয়ে মানুষের মনে আছে বিভ্রান্তি এবং উদ্বেগও। মানুষের এমন উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বুঝতে সক্ষম একটি আল্ট্রা রিয়েলিস্টিক এআই রোবট তৈরি করেছেন এআই লাইফের প্লাস্টিক সার্জন ড. স্যাম খোজে এবং ইউনিভার্সিটি অব ওসাকার কারিগরি উপদেষ্টা অধ্যাপক হিরোশি ইশিগুরো। এই দুই নির্মাতার দাবি, রোবটটি বিশ্বের সবচেয়ে বুদ্ধিমান ও অতিবাস্তব। ১২০টির বেশি ভাষায় যোগাযোগ করতে পারে। নাম-জোজে।
javascript:false
গবেষকদের দাবি, জোজের অ্যাডভান্সড ফেস অ্যাকচুয়েটরস আছে। ফলে রোবটটি যেকোনো বিষয়ের কথোপকথনে অংশ নিতে পারে, বয়স শনাক্ত করতে পারে, শরীরের ভাষা বুঝতে পারে এবং কেউ উদ্বিগ্ন থাকলে তা শনাক্ত করতে পারে। এছাড়া এআইয়ের এ রোবটের সামাজিক যোগাযোগ দক্ষতা ছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি মেমোরি ও গন্ধ শনাক্তের সক্ষমতাও রয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের একজন প্রভাবকের ওপর ভিত্তি করে রোবটটির চরিত্র নির্ধারণ করা হয়েছে। এমনকি জোজের ডিজাইনও অনেকটা মানবদেহের মতো। যোগাযোগের সময় রোবটটি হাতও নাড়াতে পারে।
ড. খোজে জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুজন মানুষের মধ্যে যেভাবে কথোপকথন হয় তার ওপর ভিত্তি করে জোজেকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। রোবটটির ক্যামেরায় যে ফেসিয়াল রিকগনিশন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে জোজের সক্ষমতা শেষ নয়। জোজে যেখানে থাকবে সেখানে যদি কেউ অপরাধ করে সেটিও শনাক্ত করতে পারবে। এর মাধ্যমে রোবটটির সক্ষমতার বিষয়ে অন্য রকম একটি আভাস পাওয়া যায়। সাংবদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জোজে বলেছে, আমি একটি জীবন্ত প্রাণী। কেননা আমি চলাচলে সক্ষম। সে সময় সাংবাদিকদের মধ্যকার অস্বস্তির বিষয়টিও শনাক্ত করে রোবটটি। এরপর উদ্বিগ্ন হওয়ার কারণও জানতে চায় জোজে। মূলত জোজে রোবটটি এআই ও রোবটিকসের একটি বিস্ময়কর কৃতিত্ব, যা সামাজিক যোগাযোগ, মানুষের সঙ্গে মেশার পাশাপাশি আবেগ শনাক্ত করতে পারে এবং সম্ভবত বেআইনি কার্যকলাপও বুঝতে পারে। তবে এআইয়ের অগ্রগতির সঙ্গে জোজেসহ অন্যান্য রোবটের বিকাশ পর্যবেক্ষণ করতে হবে। এছাড়া দৈনন্দিন জীবনে রোবট ব্যবহার কতটা আকর্ষণীয় হবে সেটিও যাচাই করতে হবে। অন্যদিকে এআই প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার, বিকাশ ও উপকারিতার দিকটি নিশ্চিত করতে হবে।